ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’। এ বিষয়ে একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল তার অভিভাষণে এ তথ্য জানান।
উপাচার্য বলেন, উন্নত দেশে গবেষণাপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যার প্রায় কাছাকাছি। এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ফেলোশিপ প্রোগ্রামও চালু থাকে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে সম্মানজনক বৃত্তির অর্থসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবেন, যা উন্নত বিশ্বের প্রায় অনুরূপ। ডিগ্রি প্রাপ্তির জন্য ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর-সংবলিত জার্নালে (কিউ ওয়ান/কিউ টু) অন্তত দুটি প্রকাশনা থাকতে হবে। বাংলাদেশে এই ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম।
উপাচার্য আরও বলেন, গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০২১ সালে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীর জন্য মনোগ্রাফ বা প্রজেক্ট চালু করার এবং মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাচে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে থিসিস গ্রুপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা-পরিবেশ ও গবেষণা-মনস্কতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য করুন