চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা
চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘বৈষম্যমূলক কোটা প্রত্যাহার চাই’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ সংবলিত প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিজুল ইসালম বলেন, আমরা ২০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, তারা দেশের সূর্য সন্তান। কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও পরিশ্রম কম করে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না।

একই বিভাগের মাশরুর আহমেদ বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে না। দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই কিন্তু এই রায়ে অসন্তুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে সরকার বিরোধী কোনো আন্দোলন করতে আসিনি, আমরা শুধু আমাদের অধিকার আদায়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই হাইকোর্ট যেন মুক্তিযুদ্ধা কোটার পুনর্বহাল রুল বাতিল করে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের পরে নাতি-নাতনিরাও কোটা সুবিধা ভোগ করছেন। প্রাইমারিতে নারী কোটার আধিক্য এবং রেলওয়েতে প্রায় ৮০ শতাংশ কোটা রয়েছে। নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় চালু হলে সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো কোনো দোষ করিনি। শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যেটি আমাদের জন্য কষ্টের, কারণ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ হারাতে হবে।

এর আগে বুধবার (৫ জুন) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট এলাকায় সমবেত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমির ভেবে ঘড়িয়াল বেঁধে রাখলেন স্থানীয়রা

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

টাঙ্গাইলে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২১

রবিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের বৈঠক

খুবিতে তৃতীয় নৈয়ায়িক ন্যাশনাল্সে চ্যাম্পিয়ন চবি

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি সমমনা জোটের

সিলেট কারাগারেই চিকিৎসা চলছে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের

৬ কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ : মাহফুজ

রায় দিয়ে ‘বাবার ট্রাস্টে’ টাকা নেন বিচারপতি

১০

‘সাংবাদিকরা সমাজে মেডিয়েটরের ভূমিকা পালন করে থাকেন’

১১

দুর্গাপূজায় সনাতনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বিএনপি : মাহবুবের শামীম

১২

নাসা স্পেস অ্যাপস প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জবি

১৩

ষড়যন্ত্র বানচালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : প্রিন্স

১৪

কার হাতে কত সোনার মজুত?

১৫

পিএসসির চাকরির পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

১৬

যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল

১৭

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৮

লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন টুকু

১৯

কলেজ অধ্যক্ষকে বাঁচাতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

২০
X