সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
আলকামা রমিন, খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ১২:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩ বছরে খুবি উপাচার্য

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এবং বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এবং বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে ২০২১ সালের ২৫ মে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। করোনা মহামারির এক স্থবির পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা কার্যক্রমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই ছিল তার প্রধান চ্যালেঞ্জ।

এ ছাড়া গবেষণায় উদ্যম সৃষ্টি, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ সচল করাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আবার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় উপাচার্য হওয়ায় তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাও ছিল বেশি। কর্ম মেয়াদের তিন বছরে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন- তা উঠে এসেছে কালবেলার প্রতিবেদনে।

সমাধান হয়নি আবাসন সংকটের

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন তার দায়িত্বের তিন বছর পূর্ণ করেছেন। এই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার দিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। গবেষণা বরাদ্দ বাড়ার ফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত আবাসন সংকট আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকটা ভোগান্তির কারণ হয়ে পড়েছে। এই সমস্যাটি সমাধান করলে আশা করি আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।

রাহুল কুমার সরকার,

তৃতীয় বর্ষ, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে খুবি

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি উন্নত হয়েছে পড়ালেখার মান, বাড়ছে গবেষণা ,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। শিক্ষার্থী হিসাবে এগুলো অবশ্যই গর্বের। আশা করি আগামী বছরেও এই উন্নয়নের ধারা বাজায় থাকবে।

তামান্না রহমান তন্নী , চতুর্থ বর্ষ, ইংরেজি ডিসিপ্লিন

গবেষণার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হচ্ছে

প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অগ্রগতি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে। বার্ষিক গবেষণা বাজেট ১.৩৫ কোটি থেকে ৫.৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যার ফলে শুধুমাত্র গত বছরেই ১,২৬৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন এবং কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে। পরিবেশ সচেতনতার অংশ হিসেবে গোলপাতার ছাউনি দিয়ে তৈরি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক আবেদনও বাড়িয়েছে, যা ছাত্র এবং কর্মীদের জন্য একটি শীতল এবং আরও টেকসই পরিবেশ তৈরি করেছে।

মজবুত গবেষণা অবকাঠামোর ভিত্তি স্থাপনের সঙ্গে এটি আশা করা যায় যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও ফলাফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎকর্ষ অব্যাহত রাখবে।

সায়মা আক্তার এশা, এমএসএস, দ্বিতীয় বর্ষ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা

শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত করা

আমাদের সম্মানিত ভিসি মহোদয় এই প্রতিষ্ঠানের সাথে বহু বছর কাটিয়ে তবেই ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু সম্পর্কে অবগত তাই তার প্রতি প্রত্যাশাটাও বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক। এর অনেক কিছুই হয়ত পূরণ হয়েছে আবার হতাশার সাথেই বলতে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। আবাসন সংকট চরম মাত্রা ধারণ করেছে, দেশের এ অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ১ম ও ২য় বর্ষের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অসহনীয়। আবাসনের দায়িত্বে থাকা সম্মানিত শিক্ষকদের ডিসিপ্লিন-প্রীতি, দুর্নীতি নিত্যদিনের ঘটনা; তাদের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব কার?

প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা, সময়ক্ষেপণ ও অসম্মানজনক উক্তি নিয়মিত ঘটনা৷ শিক্ষার্থীরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, তাদের প্রতি এত অবহেলা কেন? সবার জন্য স্বচ্ছতা ও সুশাসন একান্ত প্রয়োজন। আশা করি, সম্মানিত ভিসি মহোদয়ের সঠিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত হবে, যেখানে ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন জানার অধিকার জানা থাকবে, তাদের সাথে ঘটা অন্যায়ের শাস্তি তারা দেখতে পারবে। গবেষণার পাশাপাশি নৈতিকা ও মূল্যবোধেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বর হবে, এটাই প্রত্যাশা। ভিসি মহোদয়ের সুস্বাস্থ্যের ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি৷

মো. জিহাদ হাসান, চতুর্থ বর্ষ, ইংরেজি ডিসিপ্লিন

এগিয়ে যাবেন রিসার্চ বেসড ইউনিভার্সিটি বিনির্মাণে

উপাচার্য হিসেবে ড. মাহমুদ হোসেন স্যার অনবদ্য, অসাধারণ। এরকম একজন গবেষণা কেন্দ্রিক স্কলার মানুষ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারাই পাল্টে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ধ্যানধারণা, গবেষণার ফান্ডিং নিয়ে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের ল্যাব সুবিধা বাড়ানোসহ গবেষণা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার হিসেবে তার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নতি ও সাধন করে যাচ্ছেন তিনি।

উপাচার্য হিসেবে তার অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার জন্য মাহমুদ হোসেন স্যারের বিকল্প কমই আছে। রিসার্চ বেসড খুলনা ইউনিভার্সিটি বিনির্মাণে স্যার সুস্থতার সঙ্গে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যাবেন এই কামনা করি।

সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষার্থী, সয়েল, ওয়াটার এন্ড এনভারমেন্ট ডিসিপ্লিন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রুসকে ক্ষমা করে দিয়েছেনে পেদ্রি

চিনি ও মোটরসাইকেলের চালান ধরে ফেলল ছাত্রলীগ

বাংলাদেশকে নিয়ে পরিকল্পনা আঁকছেন গিলেস্পি

মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ‘পিস্তল’সহ আটক দুই

উইম্বলডন ২০২৪ / জোকোভিচ জিতলেন, ইংল্যান্ডকে অভিনন্দনও জানালেন

তাদের শুধু চাই হালুয়া-রুটি আর মসনদ : কর্নেল অলি

দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত

মায়ের কবরের পাশে গাছে ঝুলছিল ছেলের মরদেহ

কাউন্সিলর আতিকুরের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ

রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পর্শে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর শোক

১০

১৮ জুলাই বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সীফুড শো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

১১

মাউশিতে একসঙ্গে ২৮ জনের সংযুক্তি বাতিল

১২

বিল সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা 

১৩

আ.লীগ গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে : রিজভী

১৪

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

১৫

রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পর্শে নিহত বেড়ে ৬

১৬

যাত্রী সেজে অটোরিকশা চুরি, গ্রেপ্তার ২

১৭

রংপুরে বাড়ছে তিস্তার পানি, পানিবন্দি পাঁচ শতাধিক পরিবার

১৮

তেঁতুলিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৯

ময়মনসিংহে তরুণদের প্রশংসায় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’

২০
X