বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবির) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আবারও উত্তাল ক্যাম্পাস। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে না পারাসহ আরও ৬ দফা দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর চৌগাছা সড়ক অবরোধ করলে একপর্যায়ে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিকেলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো শ্লীলতাহানির ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, যশোর-চৌগাছা রুটের সব বাসের চালক এবং হেলপারকে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে (বিশেষত্ব, নারী ও শিশু), এ রুটের সব বাসের মধ্যে সামনের সারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখতে হবে। (নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি), ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে এর পূর্ণদায়ভার গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যবিপ্রবি ছাত্রছাত্রীরা তাদের বিবেচনাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি ঘণ্টায় শহর থেকে (চাঁচড়া, মনিহার) শাটল বাস সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং অতিদ্রুত এ দাবি কার্যকর করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাটল বাস দেওয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর জন্য যশোর চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আমরা কথা বলে ব্যবস্থা করব।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি।
জানা যায়, গত ১২ মে মাসুদ নামের এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বাসে শ্লীলতাহানি করে। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে যায়। পরে অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়ায় আবার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন