কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষরা।
বুধবার (১ মার্চ) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোল চত্বরে মানববন্ধন করেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে এসে শিক্ষার্থীদের একাত্মতা পোষণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাস খুলে সব কার্যক্রম চালু করা, অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ২৭ তারিখের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া, প্রশাসনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার।
মানববন্ধনে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো আসছে, হলে টাকা আর অস্ত্র ঢুকতেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি আমার হলের মধ্যে কোনো টাকা কিংবা অস্ত্র ঢুকেনি। সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীসুলভ না। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমি আমার হল খোলা রাখব।
শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। আমার হলও খোলা থাকবে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই, বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। যদি ছাত্ররা মনে করে হলে থাকতে হবে তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাব না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।
মন্তব্য করুন