চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।এতে দুজন স্থানীয় ও চার শিক্ষার্থী আহত হয়। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ইফতারের পর ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইফতারের আগ মুহূর্তে বাইকে করে ২ নম্বর ফটকে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মারুফ নামের এক শিক্ষার্থী। তখন অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। অপর পাশের বাইকে থাকা ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরই কর্মচারী বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী। এরপরে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে জামিল আহমেদ শাওন নামের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী এগিয়ে যান। এ সময় তাকেও পাশের আরেক দোকানি গালাগাল করতে থাকেন। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন উপস্থিত জনতা।
পরে ২ নম্বর ফটকে এই ঘটনার জের ধরে আরও ৩-৪ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জামিল আহমেদ শাওন বলেন, ‘দুটি বাইকে ধাক্কা লাগার পর আমি ওখানে যাই। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছেলেকে চট্টগ্রামের ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছিল। আমি নিষেধ করলে পাশের এক দোকানি এসে আমাকে বলে ‘ওরে মারতেছে তোর সমস্যা কী’। একপর্যায়ে সে আমার কলার ধরে। আমার সঙ্গে আলাওল হলের আরও ছেলেরা ছিল। একটা বড়সড় ঝগড়া বেধে যায় তখন।’
এ বিষয়ে আলাওল হলের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তার মধ্যে বাইকে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে জামিল নামের ছেলের কলারে হাত দিলে ঝগড়া লেগে যায়। আমরা এখন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘দুটি বাইকে সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। স্থানীয় দুজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। শিক্ষার্থী আহতের কথা জানি না। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বৈঠক করছি। দ্রুত এর মীমাংসা হয়ে যাবে।’
চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক এখানে এসেছি। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডিও আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’
মন্তব্য করুন