ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের মৃত্যু পরোয়ানা রচিত হয়েছিল’ 

কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ছবি : সংগৃহীত
কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চিন্তাভাবনা ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নির্মাণ ও উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের মৃত্যু পরোয়ানা রচিত হয়েছিল।

শনিবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহে এই জাতীয় পতাকা উত্তোলন একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। এই পতাকা কখন, কোথায়, কীভাবে নির্মাণ ও উত্তোলন করা হবে তা বঙ্গবন্ধু আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন এবং এই মহান নেতা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমাদের স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে এবং জানাতে হবে। এসব ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে তরুণ প্রজন্ম কখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দ্বারা বিভ্রান্ত হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ পতাকা উত্তোলনের পটভূমি তুলে ধরে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পতাকা উত্তোলন দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ ও জাতির গৌরবগাথা ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন এবং বিভিন্ন দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার পতাকা উত্তোলন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমেই বিশ্বকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়েছিল। আমাদের মুক্তিসংগ্রামের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল তার নির্দেশনা ও নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালের ২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস ও অর্জন প্রজন্ম পরম্পরায় বহন করে নিতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম।

এ ছাড়াও সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আ.লীগের হাতে গত ১৫ বছর আলেম সমাজ লাঞ্ছিত হয়েছে : রহমাতুল্লাহ

চট্টগ্রামে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এবার বসলেন আমরণ অনশনে

বগুড়ায় ৫ ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি

৩ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুর

ইরান নিয়ে ইসরায়েলের সামনে এখন ‘প্ল্যান বি’

আ.লীগের মিছিলের প্রস্তুতির সময় বিএনপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন চায় এনসিপি

সরিয়ে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও

রেকর্ড ভেঙে সোনার দামে নতুন ইতিহাস

১০

আরেক দেশকে নিয়ে ‘বিশাল যুদ্ধ মহড়ায়’ যুক্তরাষ্ট্র

১১

বাকেরগঞ্জে কারখানা নদীর বালুমহাল ইজারা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

১২

টানা পাঁচ দিন ঝরবে বৃষ্টি    

১৩

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড মিরসরাই

১৪

মেজর সিনহা হত্যা মামলার আপিল শুনানি বুধবার

১৫

লেভানডভস্কির চোটে বার্সা শিবিরে দুঃশ্চিন্তা

১৬

ডিসি শাকিলাকে রেলওয়ে পুলিশে বদলি

১৭

ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক, ফয়সাল রেজার অব্যাহতি

১৮

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তুতি সভা

১৯

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ধর্মগুরু হন পোপ ফ্রান্সিস

২০
X