ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং ও মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় একজন স্থায়ীসহ ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক ছয়টি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাগিংয়ের ঘটনায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজের শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালা উদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব। এদের ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে মধ্যরাতে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী তার বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচজনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে গত বছরের ১০ জুলাই মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীনকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ৫ নভেম্বর রেজওয়ানকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল কর্তৃপক্ষ, তবে তিনি উপস্থিত হননি। পরে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
মন্তব্য করুন