মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

গাছকাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ। ছবি : কালবেলা
গাছকাটার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ। ছবি : কালবেলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে অর্ধশত গাছকাটার প্রতিবাদে বৃক্ষরোপণ ও পথনাটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এ সময় ফলজ, কাষ্ঠলসহ মোট ২০টি বৃক্ষরোপণ করেন শিক্ষার্থীরা। বৃক্ষরোপণ শেষে ওই স্থানে একটি পথনাটক পরিবেশন করেন তারা।

এ সময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হওয়ায় এখানে সবচেয়ে সচেতন নাগরিকরা শিক্ষাকার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এখানে গুড প্র্যাকটিস হবে এটাই কাম্য। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় সেসব না করে রাতের আঁধারে সংরক্ষিত বন উজাড় করে ফেলছে। এটা তো সচেতন মানুষের কাজ হতে পারে না। গাছকাটার আগে আরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানকার বাস্তুসংস্থান প্রতিস্থাপন করার মতো বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি ইকোলজিক্যাল হটস্পট। অথচ এখানে বিশেষজ্ঞদের মতামত না নিয়ে বৃক্ষনিধন করা হচ্ছে। উন্নয়ন করতে হলে গাছ কাটতে হবে সেটা সবাই জানে। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়মনীতি মেনেই করতে হবে।

রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইলেক্ট্রনিক করাত দিয়ে গাছ কেটে ফেলার ঘটনা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর না হওয়াকে প্রশাসনের অদক্ষতা বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন এলাকায় যেখানে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে সেখানে নতুন করে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত মতবিনিময়ের আয়োজন করতে হবে। যে কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যেখানে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে অবশ্যই আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী এনভায়রনমেন্টাল সার্ভে এবং এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রথম দাবিটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বাকি ২টি দাবির জন্য আমাদের আশ্বস্ত করতে হবে। দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবেন বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।

গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান কারখানার পেছনে সুন্দরবন এলাকায় আইবিএ-জেইউ এর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্ধী রনি পেল হুইলচেয়ার

শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে : আবু হানিফ

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির আটক

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

১০

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

১১

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১২

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১৩

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১৪

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৫

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৬

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৭

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৮

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৯

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

২০
X