বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএনপি সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় ও কে আর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওনসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়।
জানা যায়, আজ দুপুরে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের একদফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে বিএনপির রোড মার্চ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোড মার্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান ও রোর্ড মার্চে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ব্যবহার করে। অনেকে উদ্বোধন শেষে বাসায় ফেরার সময়ও একই রাস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আগে থেকেই সড়কে অবস্থান নেয়। বিএনপি সমর্থক সন্দেহ হলেই শুরু করে মারধর। যে কোনো মোটরসাইকেল গেলেও থামানো হয়। রোডমার্চ উপলক্ষে তৈরি করা গেঞ্জি, ক্যাপ ও প্ল্যাকার্ড দেখলেও মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাদের গেঞ্জি পোড়ানো হয়। তবে অনেক সাধারণ যাত্রীও এ সময় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে দুপুর ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি গাড়িবহর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে প্রবেশ করলে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় গাড়িবহর থেকে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওনসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে সরকার বিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাঁয়তারা করে। তারা ক্যাম্পাসের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য আমরা সেটি অবশ্যই প্রতিহত করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শো-ডাউন দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা তাদের বাধা প্রদান করে । এতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
মন্তব্য করুন