বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকৃবি টিএসসি ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

বাকৃবি টিএসসি। ছবি : কালবেলা
বাকৃবি টিএসসি। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে খাবারের রেস্তোরাঁগুলো থেকে তুলনামূলক কম দাম ও মান ভালো হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের জায়গা হলো ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিন। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সময়ই ওই ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারে সংকট দেখা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে এসেও খাবার পাওয়া যায় না। আবার সকাল ও রাতের খাবারও পাওয়া যায় না। ফলে বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে বেশি দামে খাবার কিনে খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবার ক্যান্টিনে নেই পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা। তাই বড় রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, দুপুর ১২টা থেকে খাবার পাওয়া যায় ক্যান্টিনে। তবে দুপুর ১টা বাজলে প্রায়ই শেষ হয়ে যায় ভাত। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঝে মধ্যেই ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের বাইরের খাবার হোটেল থেকে বেশি দামে খেতে হয় দুপুরের খাবার। যেখানে টিএসসিতে ১০ টাকায় দেড় প্লেট ভাত পাওয়া যায় সেটা বাইরে খেতে হলে ১৫ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া মাছ ও মাংসের দাম বাইরের হোটেলগুলোতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখতে দেখা যায়। বাইরের তুলনায় দাম কম হওয়াতে শিক্ষার্থীরা খেতে আসে টিএসটিতে।

টিএসটিতে দুপুরে খেতে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস শেষে দুপুর ১টার দিকে টিএসসির ক্যান্টিনে খেতে আসলে প্রায়ই ভাত শেষ হয়ে গেছে বলেন ক্যান্টিনের ম্যানেজার। এত ভিড় থাকা সত্ত্বেও তারা আগে থেকে ভাত রান্না করে রাখে না। এ ছাড়া শুধু দুপুরের রান্না করা হয়। সকাল ও রাতের খাবার বাইরে থেকে বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। খাবারের মানও তেমন ভালো না।

কৃষি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে খাবারের সময় বসার আসন পাওয়া যায় না। অনেকে আড্ডা দেয় আবার অনেকে খাবার টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। এমনিতেই সময় স্বল্পতা অন্যদিকে ক্লাসও ধরতে হবে। অনেক সময় ক্লাসে যেতেও দেরি হয়ে যায়।

টিএসসি ক্যান্টিনের ম্যানেজার সোহেল এ বিষয়ে জানান, দ্বিতীয়বার ভাত রান্না হতে একটু সময় লাগে। আর অনেক সময় শিক্ষার্থী কম আসলে অতিরিক্ত রান্না ভাত নষ্ট হয়। এ ছাড়া দুপুরে খাওয়ার সময় অনেকে টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। অনেক শিক্ষার্থী খেতে এসে আসন পায় না। আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করি তারা যেন খাবার ৩ ঘণ্টা সময় পড়াশোনা না করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের চাওয়া এবং সমস্যার কথা লিখিত আকারে জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। শিক্ষার্থীরা চাইলে সেখানে সার্বক্ষণিক খাবার সরবরাহ করা হবে, এতে সমস্যা হবে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপকূলে মৎস্যজীবী নারীদের স্বীকৃতি নেই

ধামরাইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা আগামীকাল শুরু

আইইউবিএটির নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ কোর্স চালু

তাসনিম সিদ্দিকী : হাতেকলমে গবেষণা শেখানোর এক বিরল কারিগর!

রাজনৈতিক শুভশক্তির অনুপস্থিতি ও পথভ্রষ্টের অগ্রগতি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘ল’ অ্যালামনাই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় ম্যানেজার নেবে মদিনা গ্রুপ

সিমেন্ট শিল্পের সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নাফীসের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল বিসিবি

১০

মাসজুড়েই বন্যার শঙ্কা

১১

আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১২

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে / চলমান শিক্ষক আন্দোলনের দ্রুত যৌক্তিক সমাধান জরুরি

১৩

কোয়ার্টারে ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার রেফারি

১৪

তিস্তার পানির ব্যবস্থাপনায় পাশে থাকবে মোদি জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

১৫

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

১৬

চাঁদ জয়ের প্রস্তুতি নিতে শিশুদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

১৭

৬ষ্ঠ দিনেও আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১৮

টিউলিপ কী মন্ত্রী হচ্ছেন?

১৯

বন্যা নিয়ে দুঃসংবাদ দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর

২০
X