এডিসি হারুন একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর জেলা ছাত্র সমিতির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞান সম্পাদক শরিফ আহমেদ মুনিমের ওপর অমানবিক নির্যাতনকারী এডিসি হারুনের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এসময় ঢাবির শিক্ষার্থী মাহবুবুল আলম ইমন বলেন, এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা জানি, হারুন পরকীয়ায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর সে আমাদের হলের দুই ভাইকে নির্মমভাবে আহত করে। সে এর মাধ্যমে নিজের কুকর্ম ঢাকতে চেয়েছিল কিন্তু সেটা সে ঢাকতে পারেনি।
তিনি বলেন, এডিসি হারুন একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত লোক। এর কারণ হলো, সে শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা করে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখলে সে হামলা করতে পেটোয়া বাহিনী নিয়ে হাজির হয়। এটা সুস্থ স্বাভাবিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা করতে পারে না।
গাজীপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি আশিক রব্বানী জিহান বলেন, নাঈম ভাই বলেছিলেন, আমার পরিচয় পাওয়া মাত্রই আমাকে হারুন ও ১০-১৫ জন পুলিশ তাকে মারধর করেছে। অন্যদিকে হারুন কীভাবে এত দ্রুত এত ভালো পদে এসেছে জানতে চাইলে সে বলেছিল, রাজনীতি দিয়ে নয় নিজ যোগ্যতা দিয়েই সে এই পর্যায়ে এসেছে। সে যখন দেখেছে ছাত্রলীগের দুই নেতা তার কুকর্ম জেনে ফেলেছে সেজন্য তাদের থানায় এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে আহত করেছে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে। হারুন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে যাচ্ছে কিন্তু তাকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না। আমরা আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আমু, সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী জাহিদুল হক, কামাল খান, ছাত্রনেতা তানভীরসহ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন