বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি কক্ষে ফ্যান অচল থাকার কারণে ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ভবন (১) ৬৫০৬ নম্বর কক্ষে তিনটি ফ্যান অচল হয়ে পড়ে আছে।
কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের পরীক্ষা ছিল পাঠদানকক্ষে। এই গরমে কয়েকটি ফ্যান অচল থাকার কারণে আমাদের পরীক্ষা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। গরম সহ্য করে কষ্টে পরীক্ষা দিয়েছি আমরা।
গত ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা ছিল অন্য আরেকটি বিভাগের। তারাও একই কথা বলেন। এদিকে স্কুল ভবন নামে পরিচিত ১০১ এবং ১০২ নম্বর রুমে কোনো ফ্যানই চলে না। এই দুই কক্ষ ছোটখাটো ‘জাহান্নাম’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া কীর্তনখোলা হল রুম, ১২০৬ নম্বর কক্ষ ও জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলের সামনে চারটা ফ্যানসহ আরও কয়েকটি কক্ষে ফ্যান অচল থাকার কথা জানান বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা থাকে। ফ্যান অচল থাকলে সেখানে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয়। পরীক্ষা দিতে ভোগান্তিতে পড়ে। প্রশাসনের লোকজনের প্রতিটি কক্ষ মাঝে মাঝে পরিদর্শন করা দরকার। তাহলে এগুলো নজরে থাকবে ও কোথায় সমস্যা তা নির্ধারণ করতে পারবে। এগুলো আসলে নজর দেয় না প্রশাসন। এর একটা সমাধান করা জরুরি।
কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গেও কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও পাঠদানের সময় ফ্যান অচল থাকতে দেখা যায়। এতে তাদের কষ্ট হয় ও পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যায়। এটি আসলে সমাধান হওয়া দরকার। যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেই দপ্তরের লোকজনের দায়িত্ব থাকা দরকার।
এ বিষয়ে উপপ্রধান প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন বলেন, সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। আমরা এসব ঠিক করার জন্য কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছি। সেটি অনুমোদন দিলেই আমরা ঠিক করে দেব। তবে কিছু জায়গায় ফ্যানের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।
ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টা আমি মাত্র অবগত হলাম। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করব। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সবসময় কাজ করে যাব।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ছাদেকুল আরেফিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ কারার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।।
মন্তব্য করুন