কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের রাস্তা নির্মাণের সময় দুপাশে পিলার নির্মাণের পাঁচ বছর পার হলেও এখনো দৃশ্যমান হয়নি আবাসিক হলের গেট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ডে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিষয়টি দৃষ্টিকটু দেখা যায় বলে জানিয়েছে তারা। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় প্রশাসন। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হয় তৎকালীন দত্ত হলে প্রবেশের রাস্তার ওপর। পরে শেখ হাসিনা হলের বাজেট থেকে এই রাস্তা ও গেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তখন প্রায় ১০০ ফিট রাস্তার জন্য ২৪ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মিত হলেও গেটের স্থানে শুধু দুটি পিলার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নির্মাণ প্রকল্প থেকে হলের রাস্তা নির্মাণের বাজেট নির্ধারণ করায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এই হল প্রতিষ্ঠাকাল থেকে নির্মিত হলেও আমরা একটা গেট পায়নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় আমাদের। এমনকি রাত বিরাতে বহিরাগতরা হলের দিকে ঢুকে পড়ে।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের প্রধান নির্বাহী এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, হল কর্তৃপক্ষকে একটা রিকুইজিশন দিতে হবে। যদি হল কর্তৃপক্ষ চায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের দায়িত্ব দেবে। তখন বিষয়টা নিয়ে আমরা এগোতে পারব। কিন্তু স্বেচ্ছায় আমরা কোনো কাজের বিষয়ে বলতে পারি না। বিভিন্ন স্টক হোল্ডার থেকে চাহিদা আসলে সেটা আমরা ফাইল আকারে উপস্থাপন করে থাকি। এখন যদি না চায়, তাহলে আমাদের করার কিছু থাকে না। তবে আমাদের কাছে একটা গেটের নকশা আছে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, এটা অগ্রাধিকারভাবে গত অর্থবছর থেকে উপাচার্য চিন্তা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য গেটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গেইটের ডিজাইনটা অলরেডি পাস করা আছে। আশা করা যাচ্ছে এ বছরের যে উন্নয়ন বাজেট আছে সেখান থেকে আমরা একটা বরাদ্দ পাব।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন।
মন্তব্য করুন