চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দুই দিনব্যাপি ‘সিভাসু ফিশ ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’ শুরু হয়েছে। এতে ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫৫০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটরিয়ামে এ ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়। দুদিনের এ বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে একঝাঁক বিজ্ঞানী ৩৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের (বিএসএফএফ) সহযোগিতায় এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মো. আব্দুল ওহাব।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের দেশটা প্রাচুর্যে ভরা। আমাদের সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে অফুরন্ত সম্পদ। কিন্তু আমরা এ সম্পদগুলোকে কাজে লাগাতে পারছি না। সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক দক্ষতা বৃ্দ্ধি, ভালো পেশাগত জ্ঞান এবং কর্মসংস্থানের আরও বেশি সুযোগ পেয়ে থাকে।
সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সামুদ্রিক খাবারের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু আমরা এ চাহিদা মেটাতে পারছি না। অথচ বিশ্বের অনেক দেশ এক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। মৎস্য খাত এবং অ্যাকোয়াকালচার নিয়ে কাজ করার আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাগরের তলদেশের অফুরন্ত সম্পদ আহরণের জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি গবেষণা।
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল এবং বিএসএফএফের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য দেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিন-ইচি ইতো।
এদিকে ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য, সেবা ও উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন