সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের লিফটের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৬ শিক্ষার্থী প্রায় ৩০ মিনিট আটকা পড়ার ঘটনা ঘটে। তারই প্রেক্ষিতে লিফটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও লিফটম্যানের দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে কমল মেডিএইড নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খানের কাছে এক স্মারকলিপিতে এসব দাবি জানান তারা। এ সময় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর বারী হামিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- দ্রুততার সঙ্গে কলাভবনের ওয়াশরুমগুলোয় পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবস্থা করা; লিফটের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও লিফটম্যানের দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং কলাভবনের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোয় নষ্ট এসি সংস্কার ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কলাভবনের ডিপার্টমেন্টগুলোর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কলাভবনের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোয় এসির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। এছাড়াও ওয়াশরুমগুলোর পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে ভবনের লিফটের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, শিক্ষার্থীরা নানারকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন ও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এমন অবস্থায়, এসব লিফট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের পানির জন্য যে ফিল্টারগুলো আছে তা শিক্ষার্থী সংখ্যা তুলনায় অতি নগণ্য ও যথাসময়ে ফিল্টার কিট পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কমল মেডিএইড, ঢাবির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর বারী হামিম বলেন, সম্প্রতি লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটছে। সেখানে দায়িত্বে অবহেলা ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। এছাড়াও কলা ভবনের বেশ কিছু বিষয় সংস্কার প্রয়োজন।
আমরা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেটার যথাযথতা নিরূপণ করে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ডিন স্যার আমাদের এ সমস্যা চিহ্নিতকরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিফট সংস্কার, পরীক্ষা কেন্দ্রের এসি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং শিক্ষার্থীদেরও লিফটে চড়ার নীতিমালা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকালকের ঘটনায় লিফট ম্যানকে ইতোমধ্যে শোকজ করা হয়েছে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, কমল মেডি এইড যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলো আমরাও অনুভব করছি। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সংস্কারের ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ উল্লাহ সাইফ, বাংলা বিভাগের তাওহীদা সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের জান্নাতুল মাওয়া, উর্দু বিভাগের হাসিবুর রহমান আসিফ, বাংলা বিভাগের মাহফুজুর রহমান, নওশাদ, আশরাফুল, পিয়াল, রাফি, সালমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন