জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে, একই দিন দিবাগত রাত ১২টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলি বর্ষণ এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই বিকেল ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১০। ক.(২) ধারা অনুযায়ী ১৭/০৩/২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ০৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তারা জীবিকা নির্বাহ ভাতা হিসেবে সর্বশেষ মূল বেতনের অর্ধেক এবং তদর্থক সাহায্যসহ অ্যাড হক রিলিফ ও অন্যান্য সকল ভাতার সম্পূর্ণ আর্থিক সুবিধা পাবেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন, সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের অধ্যপক হোসনে আরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক প্রভোস্ট নাজমুল হাসান তালুকদার এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার।
এর আগে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন