‘প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষায় দলগত প্রচেষ্টা দরকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস উদযাপিত হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-২ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো খালেদ হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্যাথলজি এবং প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম হারুন উর রশিদ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান। এছাড়াও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক ও বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ভেটেরিনারি দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার ভেটেরিনারি দিবস পালন করা হয়। এ বছর বিশ্বব্যাপী ‘প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষায় দলগত প্রচেষ্টা দরকার’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দেশে গরু প্রায় ২.৫ কোটি, ছাগল প্রায় ২.৭ কোটি, ভেড়া প্রায় ৪০ লাখ, মহিষ প্রায় ১৫ লাখ এবং বিপুল সংখ্যক পোষা প্রাণী ও পাখি রয়েছে। পাখির মধ্যে মুরগির সংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি আর হাঁস রয়েছে প্রায় ৭ কোটি পাশাপাশি রয়েছে কবুতর ও কোয়েলের চাষ।
তিনি আরও বলেন, এই বিপুল প্রাণিসম্পদের স্বাস্থ্য ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক চিকিৎসা, টিকা প্রদান, পুষ্টি ও খামার ব্যবস্থাপনায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাদের নিরলস পরিশ্রম প্রাণিসম্পদকে করেছে আরও উৎপাদনশীল এবং অর্থনীতিতে এনেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাকিবুল ইসলাম বলেন, এনিমেল হেলথ, এনিমেল ওয়েলফেয়ার সর্বোপরি পাবলিক হেলথ এই তিনটি বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতেই আমাদের এই দিবস পালন করা হয়।
আলোচনা সভায়, ভেটেরিনারি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভেটেরিয়ানদের সম্মাননা দেওয়া হয়। গত বছর এই সম্মাননা পান প্যাথলজি ও প্যারসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম হারুন উর রশীদ এবং এ বছর সম্মাননা পেয়েছেন মাইক্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান। এছাড়াও জাতীয় ভেটেরিনারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তিনজন শিক্ষার্থীকেও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন