বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অভিযোগ নিয়ে যাওয়া জবি ছাত্রফ্রন্ট সভাপতিকে বের করে দেন রেজিস্ট্রার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

‘বের হয়ে যাও! ওরে বের করে দাও! বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে এসেছ এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে’ ঠিক এভাবেই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন। হেনস্তার শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যায় ইভান তাহসীভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এসব চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো অভিযোগকারীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাকে রুম থেকে বের করে দেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।

অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারব না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।

এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে যাই। আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে, রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব ওনি নিতে পারবে না বলে জানান। শিক্ষার্থীরা টিউশনির জমানো টাকায় সাইকেল কেনে, সেই সাইকেল নিয়ে টিউশনি করে।

তিনি যদি গ্যারেজের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তাহলে গ্যারেজ বন্ধ করে দিন, অথবা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোষণা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মালামালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না। একপর্যায়ে ওনি আমাকে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার বিভিন্ন ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনের মুখে কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসিকে সরানোর সিদ্ধান্ত

ধানমন্ডি লেক পরিষ্কারে যুবদল নেতাকর্মীরা

কাশ্মীরে পর্যটকদের রক্ষায় শহীদ মুসলিম যুবক

‘ধর্ম অবমাননা’ নিয়ে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

স্টেট ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকি সেমিনার

রাজশাহীতে নারী উত্ত্যক্তকারী ৪ যুবকের খোঁজে পুলিশ

রানা প্লাজা ধসের ১২ বছর / নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি

চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে জুলকারনাইনের স্ট্যাটাস

নেত্রকোনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অন্যজনের যাবজ্জীবন

১০

‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে’

১১

বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ৫০ কোটি টাকার সেতু

১২

অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ১৫ বিচারকের নথি তলব

১৩

এসএমই ও মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে সিটি ব্যাংকে দুই নতুন ডিএমডি

১৪

অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে : তারেক রহমান

১৫

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ৫ বড় সিদ্ধান্ত

১৬

পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ভারত ছাড়ার নির্দেশ

১৭

জনগণের প্রতিনিধির সরকার হওয়া জরুরি : আমির খসরু

১৮

মুরাদনগরে শ্রমিক নেতার মুক্তিতে আনন্দ মিছিল

১৯

মোহাম্মদপুরে খাল দখল করে নির্মিত ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন

২০
X