তারিখটা বৈশাখের ৯, আর ইংরেজিতে ২৩ এপ্রিল। দেশের জনপ্রিয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ‘নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ক্যাম্পাস সেজে ওঠে নতুন রঙে। বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মেতে উঠেছিলেন বৈশাখী উৎসবের আনন্দে। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্নারে ছিল উৎসবের আমেজ। কেউ পরেছিলেন লাল-সাদা শাড়ি, কেউ বা পাঞ্জাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের সামনে খোলা মঞ্চে আয়োজন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। কবিতা আবৃত্তি, আর গানের সুরে উঠে এসেছিল বাঙালিয়ানার গৌরব। ক্যাম্পাসে প্রথমবার এমন অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
১ম বর্ষের এক ছাত্র জানান, ‘এই প্রথম ইউনিভার্সিটিতে এমন উৎসবে অংশ নিচ্ছি। মনে হচ্ছে আমরা শুধু ছাত্রছাত্রী নই, একেকজন একে-অপরের বন্ধু, পরিবার!’।
বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিয়েছিলেন দেশীয় খাবারের স্টল। যেখানে ছিল পান্তা-ইলিশ, চিতই পিঠা, নারকেলের নাড়ু, ঘুগনি, তরমুজসহ নানা দেশীয় ফলের সমাহার। সব মিলিয়ে ক্যাম্পাস যেন একদিনের জন্য হয়ে উঠেছিল পুরোনো দিনের গ্রামবাংলা।
আর সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে তুলছিলেন সেলফি আর গ্রুপ ফটো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা মিলে সেসব দৃশ্য। সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের হাতে আঁকা আলপনা এবং মুখোশ প্রদর্শনও ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয় এই আয়োজন। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হালিমা সুলতানা জিনিয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মন্তব্য করুন