জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পর এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পলিটেকনিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করেও পিছিয়ে থাকছি শুধু নীতিমালার প্রয়োগ না থাকায়। প্রতিবারই আশ্বাস দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, আমরা আমরণ অনশন শুরু করেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। আমাদের এখন একটাই চাওয়া, প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক।
ছাত্রদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতায় বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে ও শিগগির পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।
মন্তব্য করুন