ধর্ষণে অভিযুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় যবিপ্রবি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপিলসংক্রান্ত বিধি এর ২ (ঙ) এবং ৫ (ড) অনুযায়ী শিক্ষকের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির পরিপন্থি বিধায় বিধি-১৫ (১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি হতে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে ড. সুজনকে প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য এবং কর্মস্থলে না আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যবিপ্রবি শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। এছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও অবমাননার অভিযোগ রয়েছে ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অদৃশ্য ক্ষমতার বলে শাস্তি না পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. সুজন চৌধুরী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও তার ক্ষমতার কারণে মুখ খুলেনি কোন ভুক্তভোগী। এদিকে গত জুলাই আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সব প্রকার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিলেও মিলেনি কোনো সমাধান।
মন্তব্য করুন