পহেলা বৈশাখে ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি বানানোর সন্দেহের জেরে মানিকগঞ্জের চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে ভিন্ন কথা। প্রশাসন বলছে, তিনি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানাননি। বাঘের মোটিফ বানিয়েছিলেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) কালবেলাকে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল প্রাং।
তিনি বলেন, উনি (মানবেন্দ্র ঘোষ) শুধু বাঘের মোটিফ বানিয়েছিলেন, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানাননি। এরপর উনি চলে যান। পরবর্তীতে যখন ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি পোড়ানোর পর সেটা আবার নতুন করে তৈরি করা হয় তখনও উনি ছিলেন না।
সহযোগী অধ্যাপক ইসরাফিল বলেন, আমরা সবাই মিলে এসব মোটিফ তৈরি করেছি। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিল্পীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ একসঙ্গে কাজ করেছে। এরপরও মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো মেনে নেওয়ার মতো না।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
বুধবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের আইজিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গত কয়েক দিন জুলাইয়ে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ অনলাইনে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের উসকনি দিচ্ছিল, তাদের ভাষ্যে, হাসিনার এফিজি বানানোর অপরাধে! এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘পাহাড় থেকে সমতলজুড়ে বাংলাদেশ মাত্রই এক অভূতপূর্ব মৈত্রীর উৎসব শেষ করল। এক অন্য রকম আবেশ সবার মনে। আর এই সময়ই ওরা আক্রমণ করে। এটা মনে করিয়ে দিল জুলাই চলমান। কিন্তু ওরা জানে না বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বুকে নিয়েই সামনে এগোচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যের সামনে এরা তুচ্ছ।’
মন্তব্য করুন