অন্যান্য বছরের চেয়ে অধিক আড়ম্বর ও উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে এ বছর। নতুন বছরে নতুন অনেক কিছুর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে ‘ভালো কাজের হালখাতা’। হালখাতাকে ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে মানুষের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পহেলা বৈশাখ সকাল থেকেই ভালো কাজের হালখাতা দেখা যায়। সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই হালখাতা তৈরি করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, হালখাতায় একপাশে ‘যাহা পাইতে চাই’ ও ‘যাহা হারাইতে চাই’ নামে দুটো অংশ দেখা গেছে। টিএসসিতে ঘুরতে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিজেদের নতুন বছরে যা পেতে চান এবং যা হারাতে চান সে সকল কিছু লিখছেন প্রবল উচ্ছ্বাসে।
পেতে চাওয়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে নাগরিক অধিকার, সুন্দর বাংলাদেশ, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশ, সুন্দর আগামী, সাম্যবাদ ইত্যাদি। হারাতে চাওয়ার তালিকায় ইজরায়েলের আগ্রাসন থেকে মুক্তি, বেকারত্ব, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা, সাম্রাজ্যবাদ, ইন্ডিয়া, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা স্থান পেয়েছে।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী জামানায়, নববর্ষের উদযাপনকে কালচারালি এলিট শ্রেণির একটা বিষয় বলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সাধারণ জনপরিষদ জনসাধারণকে এটা থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা জনসাধারণকে নববর্ষের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য এই হালখাতার উদ্যোগ নেই।
তিনি জানান, এই ধারণা এসেছে নববর্ষের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের যে হালখাতার প্রচলন ছিল সেটি থেকে। প্রথাটি দিন দিন হারিয়ে যাওয়ায় সেটিকে আবার নতুন করে সামনে আনার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খাতাটি সকাল থেকে এখানে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মানুষের পেতে চাওয়া এবং হারাতে চাওয়ার ইচ্ছায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন