বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৫মিনিটে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি অনুষদ থেকে বের হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে টিএসসি দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবে। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এ ছাড়াও উপস্থিত আছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।
শোভাযাত্রার সামনে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি ঘোড়ার বহর। এরপরই রয়েছে দেশের ২৮টি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ। এরপর আছে চারুকলা অনুষদের মূল ব্যানার। আরও আছে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, মাছ, শান্তির পায়রা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নাম, পানির বোতল, ৩৬ জুলাইয়ের একটি মোটিফ, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি স্ক্রল প্রভৃতি।
এদিকে, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা উপলক্ষে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলোতে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোনো ধরনের যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবাই হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকছেন। সন্দেহ হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির আওয়ায় আসছেন যে কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাখা হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।
মন্তব্য করুন