হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সজীব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পরীক্ষার রেজাল্ট প্রদানের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। গত বছরের জুন থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক সজিব কুমার রায়ের বিরুদ্ধে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে এবং কমিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ করে আসছে ওই বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত বছরের জুলাই শিক্ষক কর্মবিরতি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন ও অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন প্রশাসনে গঠন পর্যন্ত জুন মাসে করা লিখিত অভিযোগ পড়ে থেকেছে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগের তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হয়ে রেজাল্টও হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, বিভাগের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ব্যবহার করে সজীব কুমার রায় ৭ম সেমিস্টার (লেভেল ৪ সেমিস্টার ১) এ দুটি থিওরি কোর্স এবং ২টি ল্যাব কোর্স মিলিয়ে একাই মোট ৪টি কোর্স নিয়েছেন। ৬ষ্ঠ সেমিস্টার (লেভেল ৩ সেমিস্টার ২) পর্যন্ত সর্বোচ্চ সিজিপিএ নিয়ে বিভাগে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীকে উক্ত শিক্ষকের ৪টি কোর্সের দুটিতে ২.৫০ এবং বাকি দুটিতে যথাক্রমে ২.৭৫ এবং ৩.০০ দিয়েছেন। যদিও একই সেমেস্টারের বাঁকি কোর্সগুলোতে উক্ত শিক্ষার্থী আশানুরূপ জিপিএ পেয়েছে বলে জানিয়েছে। একই ব্যাপার ঘটেছে বিভাগের মেধাতালিকার প্রথমদিকে থাকা আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম এমদাদুল হাসান ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন