পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন হলের ১০ তলার একটি কক্ষ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাবনা সদর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও সেটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে ভবনে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। বুধবার সকালে হ্যামার টেস্টসহ অন্যান্য পরীক্ষা চালাতে গেলে ভবন পরীক্ষক দল তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করে এবং বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে অবহিত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, ডিএসবি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি ভবনের ১০ তলার একটি রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে মৃত ব্যক্তির গলায় ফাঁসের দড়ি থাকলেও দড়িটি ছেঁড়া ছিল। পুলিশ ধারণা করছে, মৃত্যুর পর দেহে ওজন বেড়ে যাওয়ায় দড়ি ছিঁড়ে মরদেহটি মেঝেতে পড়ে যায়। মৃতদেহটি পচে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খাঁন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করছি, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে, সম্ভবত ঈদের আগেই। গলায় দড়ি থাকায় আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্মার্টফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি তদন্তকাজে আসবে বলে আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভবন পরীক্ষকরা দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন