জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জবি উপাচার্যের 

জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশে শিক্ষকরা। ছবি : কালবেলা
জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশে শিক্ষকরা। ছবি : কালবেলা

ইসরায়েলের সব পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। সেই সঙ্গে দেশি পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বর্বর ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা’ সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সংহতি সমাবেশে উপাচার্য বলেন, মাসের পর মাস বর্বরোচিত গণহত্যা চলছে। দেরিতে হলেও আমরা এর প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। আমরা এখান থেকে কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দোয়া যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন তাহলে হয়ত তাদের দুর্দশার সমাপ্তি হবে।

এছাড়া সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য দেন।

এছাড়া ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। জোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সমাবেশে শিক্ষক কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।

এসময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘উহুদের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’ স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছি। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান, বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে হবে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছি ইসায়েলি সকল পণ্য বর্জন করছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, আমাদের এখন বক্তব্য দেওয়ার সময় নেই। আমরা অনেক সমবেদনা, একাত্মতা দেখেছি। আমাদের এখন অ্যাকশনে চলে যেতে হবে। আমাদের মুসলিমদের একত্রিত হতে হবে। আমেরিকার অ্যাম্বাসি ঘেরাও করে লাভ নেই। আমাদের মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে। ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিসরকে জাগাতে হবে। এখন পর্যন্ত ইনটেরিম সরকারের কোনো বিবৃতি দেখলাম না। এখন ফিলিস্তিনের ওপর হামলা হত্যা চলছে, কিছুদিন পর দেখবেন আপনাদের ওপর হামলা হবে। এরপর সৌদি, মিসরও পার পাবে না।

জবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আজ কোথায় সেই মুসলিম উম্মাহ? কোথায় মুসলিম দেশগুলো? কোথায় মুসলিম নেতারা? আমাদের নবীজির জমিন আজ রক্তে রঞ্জিত। বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের আত্মনির্ভর হতে হবে। এমন অবস্থানে যেতে হবে যাতে আমরা আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়—চাই সেটা অস্ত্র হোক বা কোনো পণ্য।

এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দোয়া করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন নির্বাহী পরিচালক রাগীব সামাদ

কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চ বন্ধ ঘোষণা

দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে : সাদাত

ওআইসির নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন লেবার পার্টির

সিলেটে বাটার শোরুমে লুটপাট

বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে স্পেন প্রবাসী নিহত, আহত ১২

সাতক্ষীরায় ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত আ.লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেপ্তার

অবৈধ ইসরাইলকে গুঁড়িয়ে দিন : ড. কেরামত আলী

ইসরায়েলি পণ্য মাটিতে ফেলে ঢাকা উত্তর বিএনপির প্রতিবাদ

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে সম্মেলন থেকে বহিষ্কার

১০

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা

১১

যমুনা ব্যাংকের এসএভিপি প্রশান্ত কুমারের ৯ হিসাব অবরুদ্ধ 

১২

আইনজীবী হত্যায় উত্তাল মৌলভীবাজার

১৩

সেনা কল্যাণ সংস্থার কারখানা পরিদর্শনে বাণিজ্য উপদেষ্টা

১৪

জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ৬ শি‌শু

১৫

‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের পরিবর্তে নতুন সংঘ গঠিত হতে পারে’

১৬

বিদ্যালয়ের পাশেই পুড়ছে ইট

১৭

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে পিবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি 

১৮

কারাগারে যাওয়ার সময় জামায়াত নেতার সঙ্গে করমর্দন করলেন সাবেক মন্ত্রী

১৯

রাষ্ট্রপতির সম্মতি, আইনে পরিণত হলো ওয়াকফ বিল

২০
X