বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। এতে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। বক্তব্যে তিনি মহান স্বাধীনতার ইতিহাস এবং জাতীয় অর্জনসমূহের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা শুধু স্বাধীনতা অর্জন করিনি, বরং জাতীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সৃষ্টি করেছি।’ তিনি জাতীয় জীবনে সত্য ও অসত্যের পার্থক্য নিরূপণ এবং অসত্যকে ত্যাগ করার কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন যা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত দেশ গঠনে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যেন কেউ নিজের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য অন্যকে ব্যবহার করতে না পারে। মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল এবং যার জন্য অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, তা যেন বাস্তবায়িত হয়। সর্বোপরি দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইউবিটির রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিন আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশের দিন।’
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান মো. সামশুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। এর সঠিক মূল্যায়ন ও সংরক্ষণ আমাদের দায়িত্ব।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ও উপদেষ্টা, ছাত্র বিষয়ক কমিটি, অধ্যাপক মিঞা লুৎফার রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধ সঞ্চারিত করতে হবে। যাতে তারা জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। আমাদের এই স্বাধীনতা রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে বিইউবিটির পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং তার জীবন ও কর্মের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিইউবিটির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন