আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত ছাত্র-জনতা।
শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’; ‘খুনি লীগের ঠাঁই নাই, আমার সোনার বাংলায়’; ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মো. আরমান বলেন, আমরা জীবন দিতে পুনরায় নামবো, কিন্তু আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কথা যারা বলবে তাদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবো। যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলছেন- আমরা জানি যারা হত্যাকারী এবং হত্যাকারীর পক্ষে কথা বলে তারা সমান অপরাধী। আমরা আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই, আপনারা যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে একটা কথাও বলেন এবং অতীতে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণমাধ্যমে এসে ক্ষমা না চান তবে আপনাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা গত ১৭ বছরে বিভিন্ন জায়গায় তাদের দোসরদের বসিয়ে তিলে তিলে বাংলাদেশকে নষ্ট করেছে।
গণঅভ্যুত্থানে আহত আশরাফুল বলেন, স্বৈরাচার খুনি হাসিনা আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের হাজার হাজার ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে চাই। খুনি হাসিনার যতদিন না ফাঁসির রায় আসবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এ সময় মাসুদ রানা নামে আরেক আহত ব্যক্তি বলেন, আমরা আজকে এখানে যে দাবিতে দাঁড়িয়েছি, সেই আওয়ামী লীগ ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। আপনারা শহীদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাদের আহ্বান না শুনলে রাজপথ আবার প্রকম্পিত হবে, রক্তে রঞ্জিত হবে।
মন্তব্য করুন