আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দুই হাজারেরও অধিক মানুষকে খুন করতে পারে সে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার জন্য দুই লাখেরও অধিক আমাদের বিপ্লবী ভাই-বোনদের খুন করতে, ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করতে ন্যূনতম কুণ্ঠা বোধ করবে না।
তিনি আরও বলেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা যারা দিল্লি না ঢাকা স্লোগান দিয়ে এই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রশাসন লীগের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দিয়ে রাজপথে লড়াই করেছিল তারা এই বক্তব্য (উপদেষ্টার বক্তব্য) প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর নিন্দা জানাচ্ছে।
উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই আপনার। তাহলে কীসের পরিকল্পনা আছে আপনার? এই রক্ত এবং জীবনের বিনিময়ে আপনারা সেখানে বসেছেন। দিল্লির নির্দেশে আগামীতে এই দেশে নির্বাচন হবে সেজন্য কি আপনাদের এখানে বসানো হয়েছিল?
ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করে গেছে- তারপরেও কীভাবে আপনারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছে, বাংলাদেশের বিজয় নাকি ইন্ডিয়ার বিজয়। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী থেকে শুরু করে এর তৃণমূল পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মীকে দেখেছেন এর প্রতিবাদ করতে? দেখেননি। তারা প্রতিবাদ করেনি। তার মানে তারা কোনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল নয়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধারণ করে না।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, একটা গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে উসকে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বলব, আপনাদের যদি কেউ অন্ধকারে ঢিল মারতে বলে আপনারা ঢিল মারবেন না। কারণ অন্ধকারে ঢিল মেরে অনেকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের পক্ষে ছিলেন বর্তমান সময় এবং ভবিষ্যতেও আমরা বিপ্লবী সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা জনগণের পক্ষে থাকবেন।
মন্তব্য করুন