ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সংহতি সমাবেশ ও গণপদযাত্রা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি গণপদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে নগরের কাজলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা ‘উজান’ ও ‘উত্তরণ’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, যারা সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবতার কথা বলে, তারাই ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী আক্রমণ করে নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে। তাদের বর্বরতায় মায়ের পেটের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। প্রতিটি রোজা এলেই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। তাদের এমন গণহত্যার রেকর্ড বহু আছে। তবুও বিশ্বমোড়লরা ও বিশ্বসংস্থা নিন্দা প্রস্তাব করার সাহস পায় না। এগুলো তাদের বিবেককে নাড়া দেয় না। বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লিমন মিয়া বলেন, আমরা জাতিসংঘ নামে যে একটি সংগঠন দেখি, মূলত তা মুসলিমদের পক্ষে কখনো কাজ করেনি। তারা যখনই দেখেছে পৃথিবীর কোনো প্রান্তে অন্য ধর্মাবলম্বী কোনো মানুষ সামান্যতম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তখন জাতিসংঘসহ পৃথিবীর মানবাধিকার সম্পর্কিত সংগঠন অধিকার আদায়ে সোচ্চার ও স্বাধীনতাকামী হয়েছে। কিন্তু যখনই মুসলিম শিশু, নারী ও ভাইদের দুর্দশা দেখেছি, তখন তারা চুপ থেকে বোঝায় তারা খুব অসহায়। আজ মুসলিম ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় ঐক্য ও আমাদের দোয়া করা ছাড়া কিছু করার নেই।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম মাসউদ আখতার, ম্যাটারিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জিএম শফিউর রহমান, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উত্তরণ পত্রিকার সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন।
মন্তব্য করুন