বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে ও নৌকা প্রতীকে আর কখনো কেউ রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জাহিদ আহসান বলেন, রিফাইন আওয়ামী লীগ নামে কোনো আওয়ামী লীগ হয় না। আওয়ামী লীগ মানেই আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে এই ফরমুলা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরত আনা হয়েছে। নামে-বেনামে আওয়ামী লীগকে ফেরত এনে শেখ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশকে আরও একটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দিতে আমরা জুলাইয়ে রক্ত দেইনি।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট, যেখান থেকেই আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হবে, সেসব প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বাগছাসের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, এখনো আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হয় যেখানে পাঁচ আগস্ট নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগ থাকবে কী থাকবে না। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে, কচুক্ষেতের প্রেসক্রিপশনে, ক্যান্টনমেন্টের প্রেসক্রিপশনে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা চলছে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত আছে ততদিন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ফিরতে দেব না। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হয়, আওয়ামী লীগের বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।
মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে মাইনাস টু ফরমুলা সে মাইনাস টু ফরমুলা হচ্ছে সাউথ এশিয়ান মাইনাস টু। এখানে আমাদের ভারত এবং পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে বের হতে হবে। আমাদের নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোন নির্ধারণ করতে হবে। নতুন ডিপ্লোম্যাটিক জোনের মাধ্যমে আমার দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আমরা ভারত-পাকিস্তানমুখী রাজনীতি শেষ করে ফেলেছি। আমরা আর ভারত-পাকিস্তানমুখী রাজনীতি করতে চাই না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে, বাংলাদেশের ভাগ্য কী হবে সেটি আমরা কখনোই মেনে নিব না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মহির আলম প্রমুখ।
এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে ‘গণহত্যার’ দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। মিছিলটি ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে শাহবাগ দিয়ে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন