আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে এসে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও খুনি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’; ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘গড়িমসি বন্ধ করো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’; ‘চব্বিশের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে তার রেশ এখনো কাটেনি। আহতরা এখনো হাসপাতালে। এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, জুলাই বিপ্লবে পাখির মতো গুলি করে যারা আমাদের ভাইদের শহীদ করেছে তারা কীভাবে এ দেশে রাজনীতি করে। আজ আমাদের এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে। যতদিন বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হবে ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হাজার হাজার মায়ের কোল খালি করে নতুন বাংলাদেশে আমরা বসবাস করছি। শত সহস্র ভাইয়ের রক্তে এখনো আওয়ামী লীগের হাত রঞ্জিত। আওয়ামী লীগকে আমরা রাজনীতি করতে দিব না। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তারা জাতির সঙ্গে বেইমানি করবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না, তারা আবু সাইদ, মুগ্ধের মতো শত শত শহীদের রক্তের উপর বসে আছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। সুতরাং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা যারা করবে তারাও আমাদের শত্রু হিসেবে গণ্য হবে। যারাই আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কথা বলবো।
এর আগে গতকাল রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে।
মন্তব্য করুন