ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিগত ১৬ বছরে হওয়া নিয়োগ-সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিত করতে পৃথক ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুর্নীতিবিষয়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান। অন্য সদস্যরা হলেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী। এ ছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদার। কমিটিকে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশ সূত্রে, ২০০৯ সালের ৯ মার্চ থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিতকরণ ও এ সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা এরইমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। অনিয়মের তথ্য জমা দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারও কাছে দুর্নীতির কোনো তথ্য দেওয়ার থাকলে, অনলাইন ও অফলাইনে জমা দেওয়ার আহ্বান থাকবে। সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণ বিষয়ক কমিটিতে আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিন্নাতুল করিম। কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন