ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ‘কমল মেডি এইড-ঢাবি’ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
জানা যায়, প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের প্রধান ক্বারী এমদাদ, ক্বারী লিয়াকত, ক্বারী আব্দুল মালেক ও ক্বারী আতাউল্লাহ।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য(শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা নাজির মাহমুদ।
প্রতিযোগিতায় ছেলে ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের আশিকুজ্জামান আনিস, দ্বিতীয় হয়েছেন সিএসই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী এন এম রশিদ উজ জামান মাসুম, তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে ২০২৩-২৪ সেশনের ক্রিমিনোলোজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান আহমেদ ও ২০২৩-২৪ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিম হাসান।
নারী ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বুলবুল, দ্বিতীয় হয়েছেন সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী কবিতা আক্তার ও তৃতীয় হয়েছেন উর্দু বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী শেখ তাসনিয়া করিম।
প্রতিযোগিতার ব্যাপারে তানভীর বারী হামিম জানান, ঢাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পবিত্র গ্রন্থটির প্রতি তরুণ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে এর আলোকে জীবন গড়তে সহযোগিতা করবে। কমল মেডি এইড শিক্ষার্থীদের শুধু টেলিমেডিসিন সেবা কিংবা স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও দৈহিক উন্নতি লাভেও ভূমিকা রাখবে।
অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, গত ১৫ বছর এই ক্যাম্পাসে একটি ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিলো। আমরা দেখেছি এখানে সব ধরনের প্রোগ্রাম হলেও ইসলামিক কোন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হলে আগের দিন রাতে বা দিনে কোনো না কোনো উপায়ে বা বন্ধ করে দেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পরে ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশের পাশাপাশি ইসলামিক প্রোগ্রাম আমরা দেখতে পারছি। এমন প্রোগ্রাম নিয়মিত চালু থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা৷
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, পবিত্র রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কোরআন হচ্ছে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। মানুষের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনের সমস্ত সমস্যা, সংকট, ইহলৌকিক জীবন এবং পারলৌকিক মুক্তির দিকনির্দেশনা রয়েছে সেই মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনে।
ঢাবি প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, আজকে এখানে উপস্থিত হয়ে যে তৃপ্তি পেয়েছি এবং অনুষ্ঠানকে ঘিরে যে পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা আমি খুব কমই পেয়েছি। রমজানের এই পবিত্র পরিবেশে কোরআন একটি সুন্দর রূপ প্রদান করে। এই আয়োজন রমজানে হওয়ায় এটি আরও আকর্ষণীয়, তৃপ্তিদায়ক, আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য হয়েছে৷ আমরা যারা ইসলামকে মেনে চলি তাদের জীবনকে আরও উন্নত করতে কোরআন নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে কোরআন। সুতরাং আজকের দিনে যারা এই আয়োজন করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম ইমন, বিশ্বজয়ী হাফেজ জাকারিয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন