মামলা থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম বাদ দিতে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল থেকে তিন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে এবার তাদের দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও কর্মী হাসিবুল ইসলামের ২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের দুটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এতে আহসান হাবীববের করা মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৯ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দুইজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
এর কয়েকদিন পর শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ফারুক হোসেনের সঙ্গে এক ছাত্রলীগ নেতার ৯ মিনিট সাত সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। সেখানেও আহসান হাবীবের করা মামলায় টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগ নেতার নাম বাদ দেওয়ার আলোচনা শোনা যায়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গত বছরের ২২ অক্টোবর আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের আদেশ দেয় ছাত্রদল।
তবে তাদের অপরাধের সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আবার তাদের দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রদল। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী কালবেলাকে বলেন, তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি তাদের অপরাধের প্রমাণ বা সত্যতা পায়নি। তাই আমরা তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান কালবেলাকে বলেন, একেক অপরাধের শাস্তির মাত্রা এবং মেয়াদ একেকরকম থাকে। তাদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল সেটি খুব বেশি গুরুতর না। ফলে আমরা তাদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই হয়তো তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে দেওয়া হবে।
তবে তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে দেওয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির একাধিক নেতা কালবেলাকে বলেন, কোনো অপরাধে একজনকে শাস্তি দেওয়া হয় যাতে সে দ্বিতীয়বার সে অপরাধ আর না করে। তবে শোধরানোর আগেই যদি আবার শাস্তি স্থগিত করা হয় তবে তো আবারও সে অপরাধ করবে। তাদের অপরাধের শাস্তি বাতিলের বিষয়ে কেন্দ্রকে ভালোভাবে বিবেচনার অনুরোধও করেন তারা।
মন্তব্য করুন