খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রশাসন শাখা প্রধানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, অর্থ ও হিসাব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত উপ-রেজিস্ট্রার মো. রহমত আলীর আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন সিন্ডিকেটের ২৩০তম সভায় উপস্থাপিত হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এদিকে, গত ৩ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান নোটিশের জবাব দাখিল করলেও তা কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক প্রমাণিত হয়নি। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি-১২ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বরখাস্তকালীন সময়ে তাকে প্রতি কার্যদিবসে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরখাস্ত শেখ মুজিবুর রহমান অতীতেও বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তবে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে অতীতে তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্রজলাল কলেজের মুক্তি হত্যাকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। দীর্ঘ চার বছর কারাভোগের পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন