সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের পর কলেজ গেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেয়।
সমাবেশ থেকে সম্প্রতি সংঘটিত শিশু আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং দোষীদের দ্রুত জনসমক্ষে ফাঁসির দাবি তোলা হয়। শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন, এ সময়ের মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, আমরা প্রতিবাদ করা না পর্যন্ত ধর্ষকদের বিচার কেন শুরু হয় না? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে আমরা দায়িত্ব তুলে দিয়েছি, তারা কোনো দলীয় সরকার নয়, তাহলে এখনো কেন ধর্ষকদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না? তারা আরও বলেন, প্রতিটি ধর্ষিতার পাশে আমরা আছি। ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে আবার রাস্তায় নামব।
শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এবং দ্রুত বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সমাবেশে ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। ছিনতাই, সন্ত্রাস ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি আমার বোন আছিয়াকে তারই নিকটাত্মীয়রা নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। আমরা আইনের শাসন চাই না, আমরা বিচার চাই। ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে। যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তবে ছাত্র জনতা রাস্তায় নামবে।
শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল বান্না জিসান বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছিয়ার ধর্ষকদের বিচার না করা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেব।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক মেহেদী হাসান বলেন, দেশে ধর্ষণের বিচার হয় না, বরং মামলাগুলো বছরের পর বছর ট্রাইব্যুনালে পড়ে থাকে। সরকার যদি ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারাবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা খাতুন বলেন, নারী দিবসেও দেশে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় ধর্ষকরা জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসে। আমরা চাই, দ্রুত ও কার্যকর বিচার ব্যবস্থা গড়ে উঠুক।
শিক্ষার্থী মুজিদ হাসান বলেন, আমাদের বোনেরা রাস্তায় নিরাপদ নয়। তাদের নির্ভয়ে চলাফেরার জন্য দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় ধর্ষণের ঘটনা আরও বাড়বে।
প্রতিবাদকারীরা ধর্ষকদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
মন্তব্য করুন