যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের এমবিএ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে পাশ দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিত দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শান্তি হিসেবে চাকরিচ্যুতেরও বিধান রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা হয়, গত সপ্তাহে মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ প্রথম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে এমবিএ-২২২৩০৯ রোলধারী এক শিক্ষার্থী এমকেটি-৫১০৭ কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও তাকে পাস দেখানো হয়েছে।
টাইপিং মিস্টেক হয়েছে কি না যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নম্বরের সঙ্গে পরবর্তী শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের কোনো মিল নেই, যা প্রমাণ করে এটি টাইপিং মিস্টেক নয়। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো পত্রে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে টাইপিং মিস্টেক হওয়ারও সুযোগ নেই। আবার বিভাগে থাকা উপস্থিতি পত্রে তার স্বাক্ষর না থাকলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো উপস্থিতি পত্রে কীভাবে ওই শিক্ষার্থীকে উপস্থিত দেখানো হলো? এটি অনেক বড় প্রশ্ন!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এসএম শরীফুল হক ও ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মো. সালিউদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ কালবেলাকে বলেন, আমি বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। যদি এ ধরনের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন