শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আলমগীর কবির এবং তার অনুসারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে আলমগীরের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘোষণা দেন তারা। এর আগে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তারা আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জানা যায়, বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া উত্তেজনা দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপ নেয়, যা দ্রুত পুরো হলে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আরও জানা যায়, ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম ত্বোহা ফেসবুকে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন নিজ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর মাধ্যমে পরিচালনার একটি প্রস্তাবনা দেন। তার পোস্টের কমেন্টে ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান হৃদয় শুধু এক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ক্যান্টিন পরিচালনার বিরোধিতা করেন। এ বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সরাসরি কথোপকথনে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডায় রূপ নেয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আলমগীর কবির তার অনুগত ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আজ (রোববার) ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে স্থিতিশীল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করেছেন। যার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে ও তার অনুগতদের প্রতিহত করে। পরে তার কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ক্যাম্পাসে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ৫ আগস্টের পর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম আলমগীর কবির সরকার পতনের পর আবাসিক হল দখল এবং পরবর্তী সময়ে দখলদারত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করছেন।
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান বলেন, ইফতারের আগে ২১ ও ২২ ব্যাচের সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ২২ ব্যাচের যে ছেলে ক্যান্টিনের খাবারে মান নিয়ে মন্তব্য করেছে, তার মন্তব্যে সঙ্গে খাবারের মানের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আমার সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চেয়ে ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছেন। তবে বর্তমানে যে ক্যান্টিন চালায় খুব সুন্দরভাবেই চালাচ্ছে এবং খাবারের মান যথেষ্ট ভালো আছে।
এ ঘটনায় শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কিছু শিক্ষার্থী তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
মন্তব্য করুন