খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। সমাজের অনেক সাংবাদিক আছেন, যাদের বিষয়ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলেও বাস্তবতার আলোকে তারা এতটাই সমৃদ্ধ হয়েছেন যে, তাদের নিয়ে সমাজ গর্বিত। সাংবাদিকরা তাদের কর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকেন।
রবিবার (২ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলনকক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) আয়োজিত ‘পেশাগত দক্ষতা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক’ প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, প্রতিটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠানই ইন্ডাস্ট্রি। এখান থেকে প্রতিবছর দক্ষ জনশক্তি শিক্ষালাভ করে বের হয়। স্ব স্ব পেশায় নিয়োজিত হয়ে তারা দেশ ও জাতির উন্নয়নে অংশ নেন। পেশাগত জীবনে তারা যদি সঠিক কর্মস্থল না পান এবং কর্মস্থলে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের সফলতা বলতে কিছু থাকে না। তাই উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সাংবাদিকতায় ভবিষ্যৎ গঠনে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা শুধু খবর সংগ্রহ নয় বরং এটি সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী মাধ্যম। তাই শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। যাতে তাদের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে এবং সমাজ তাতে উপকৃত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের লেখনীর একটা সুদূরপ্রসারী ইমপ্যাক্ট রয়েছে। পজিটিভ ইমপ্যাক্ট যেমন মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করে, তেমনি নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট একটি জীবনকে ওলট-পালট করে দিতে পারে। তাই সাংবাদিকদের নিয়মনীতি মেনে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের অন্যায়-অবিচার তুলে ধরা উচিত।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহদী-আল-মুহতাসীম নিবিড় ‘সাংবাদিকতায় নৈতিকতা ও আচরণবিধি’, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মাল্টিমিডিয়া হেড সুলাইমান নিলয় ‘ক্যাম্পাসে স্বপ্নের রিপোর্টিং: প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন’ এবং নূরা হেলথ বাংলাদেশ এর হেলথ কমিউনিকেশন লিড ওয়াহিদা জামান সিথি ‘প্রফেশনাল সিভি রাইটিং’ বিষয়ে টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপ-উপাচার্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুবিসাস সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার। এ প্রশিক্ষণে সাংবাদিক সমিতির সদস্য, সহযোগী সদস্য এবং সাংবাদিকতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে তাদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন