বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালানোর ঘটনায় গভীর রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন। পরে মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৌঁছে। পরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’; ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, আবরার হত্যার পর অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পর একজনের ফাঁসির রায়ের পর আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এ রায় কার্যকর হলে আমরা একটু হলেও শান্তি পাবো। আর এ মুহূর্তে এসে এ আসামির পালিয়ে যাওয়ার খবর আমাদের জন্য হতাশাজনক।
এর আগে সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে পালিয়েছে বলে জানান আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
আবরার ফাইয়াজ তার পোস্টে লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি তখন।’
তিনি লেখেন, ‘ফাঁসির আসামি তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে! পালানোর পরেও এ তথ্য বাইরে না আসাতো এটাই প্রমাণ করে, তাকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্বে থেকেই আরও তিনজন পলাতক আছে। মুনতাসির আল জেমি, পিতা- আব্দুল মজিদ, মাতা- জোসনা বেগম, ঠিকানা : ৫/১ বাউন্ডারি রোড, নতুন বাজার, কোতোয়ালি, ময়মনসিংহ।’
মন্তব্য করুন