কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রথমবারের মতো জমজমাট নজরুল কলেজের বিজ্ঞান মেলা

কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা। ছবি : কালবেলা
কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা। ছবি : কালবেলা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্ময়কর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো পালন করা হলো বিজ্ঞান মেলা। শিক্ষার্থীদের নানা উদ্বোধনের প্রকল্প গবেষণা ও সৃজনশীল প্রদর্শনীতে মেলাটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত শিক্ষাঙ্গনে।

এবার বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজসহ তেজগাঁও কলেজ ও খিলগাঁও সরকারি কলেজ। এবং অংশগ্রহণ নিয়েছে রসায়ন বিভাগ, উদ্ভিদ বিভাগ, প্রানিবিদ্যা বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগসহ মোট ৬টি বিভাগ ও ২০টি স্টল। মেলায় ছিল বায়োপ্লাস্টিক উৎপাদনের কৌশল এসিড বৃষ্টি ব্যবহার, গণিতের ফর্মুলা, আবর্জনা দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ, আধুনিক মিশ্র কৃষি পদ্ধতি ও নিরাপদ পানি নিরাপদ জীবন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আধ্যাপক ড. এ কে এম আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে আমাদের অনেক ছাত্র নিহত হয়েছেন। আজকের ছাত্রছাত্রীদের এ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে আমার নিজের শিক্ষা জীবনের কথা মনে পরেছে। আমি সবসময় বিজ্ঞানকে একটা অসন্ধানের অনুসন্ধান মনে করেছি। এটা একটা অজানার প্রতি আকর্ষণ কৌতূহল ও অধ্যাবসায়ের ওপর নির্মিত।

এ ছাড়া তিনি বলেন, আমি আমার শিক্ষা জীবন শুরু করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুপার কন্টেবিলিটি ধারায়।

তিনি আরও বলেন, সুপার কন্টেবিলিটি গবেষণা করার উদ্দেশ্য ছিল আপনি আপনার এনার্জিকে পুরোপুরি ইউটিলাইজ করতে পারেবেন কি না তা জানা। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনীর চেতনা ও গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করেন।

আধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আধ্যাপক মুহাম্মদ হায়দার মিঞা ও আধ্যাপক ড. মো শরীফুল আলম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান শিক্ষকরা। তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করেন এবং বলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্বোধনী প্রয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।

মেলা দেখতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা আমাদের প্রথম বিজ্ঞানমেলা হওয়ায় আমাদের অনেক ভালো লাগছে। বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে আমরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেমন অ্যাসিড বৃষ্টি, বায়োপ্লাস্টিক, নিরাপদ পানি নিরাপদ জীবন, ফেলে রাখা জিনিস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে এগুলো বিষয় নিয়ে আমরা যদি গবেষণা করি তাহলে দেশ আমাদের অনেক দূরে এগিয়ে যাবে। আমরা চাই প্রতিবছর এমন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হোক।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিজ্ঞানমেলা আয়োজিতের কারণে আমাদের মধ্যে অনেক সৃজনশীলতা এবং উদ্দীপণতা বৃদ্ধি পেয়েছে । এই মেলার কারণে আমার বাংলাদেশের যে সমস্যাগুলো হয় তা বিজ্ঞানের মাধ্যমে কীভাবে সমাধান করা যাবে এবং শাস্ত্রই হবে সেগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।

বিজ্ঞানমেলা শুধু প্রদর্শনীয় জায়গা নয় এটিই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশাল শিক্ষার ক্ষেত্র। তাদের নতুন নতুন ভাবনা ও উদ্বোধনের ভবিষ্যতের উন্নয়নের চাবিকাঠি। এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে

ফুল দিয়ে ফেরার পথে নাগরিক ঐক্যের শহীদুলকে ছুরিকাঘাত

গাজার ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ মরদেহ

২০ লাখে ‘শ্বশুর আব্বার টি-স্টল’

মেসির অটোগ্রাফ চাওয়ায় শাস্তির মুখে রেফারি

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

আওয়ামী সরকারের উৎখাতের কারণ জানা গেল জাতিসংঘের প্রতিবেদনে

তেল আবিবে ৩ বাসে বিস্ফোরণ, ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক

মিসরে আরেক ফারাউ সম্রাটের সমাধি আবিষ্কার

চট্টগ্রামে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষাশহীদদের স্মরণ

১০

চোট নিয়েও হৃদয়ের বীরত্ব, না পারার আক্ষেপ!

১১

অশ্লীল নাচের দৃশ্য নিয়েই ওটিটিতে উর্বশীর ‘ডাকু মহারাজ’

১২

ভাষাশহীদদের প্রতি বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

১৩

খুবিতে জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের রিপোর্টের ওপর আলোচনাসভা

১৪

বিরল দিনে শুরু হচ্ছে এবারের রোজা

১৫

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে একুশের চেতনা : রিজভী

১৬

হারিয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধার ওড়াও জাতিগোষ্ঠীর ভাষা

১৭

ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত ঢাবি ছাত্রশিবিরের

১৮

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে : প্রধান উপদেষ্টা

১৯

যেসব অভ্যাসে কমতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি

২০
X