খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করাসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুয়েটের সিন্ডিকেটের ৯৮তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে অবরুদ্ধ থাকা ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ অনলাইনে সভায় যোগদান করেন।
সভার সিদ্ধান্তগুলো হলো- ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আদেশ বহাল রাখা এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা, এ ঘটনায় আহত সবাইকে কুয়েটের ব্যবস্থাপনায় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং বিভাগীয় কমিশনার এর তত্ত্বাবধায়নে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবিতে কুয়েটের প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সকাল থেকেই অনেক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে যারা ভাড়া রয়েছেন তাদের ভেতরে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। উদ্বিগ্নে রয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েটের আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক কালবেলাকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও কুয়েটকে রাজনীতিমুক্ত করতে ৫ দফা দাবি দিয়েছে। সেটার জন্য নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে এবং সব পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করুন