খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় ধারালো অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও মাহবুব যুবদলের কোনো দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাহবুবের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে। মাহবুব বর্তমানে যুবদলের কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। কুয়েট এলাকায় অবস্থান তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেখানে সংগঠনের কোনো বিষয় ছিল না।
কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুগ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন