‘বিশ’, ‘টু জিরো’, আমরা অরিঞ্জয়ী- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিবৃত্ত ২০’ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী শিক্ষাসমাপনী উৎসব শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ট্রাক র্যালির মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে খুলনা মহানগরী ঘুরে আবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয়। এছাড়াও এদিন কালার ফেস্ট ও অর্গানাইজেশন ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আগামীকাল মঙ্গলবার ফরমাল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির তৃতীয় ও শেষ দিন আগামী বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। কনসার্টে ‘নগরবাউল জেমস’ ‘মেঘদল’ এবং ‘ক্রিপটিক ফেইট’ পারফর্ম করবে।
আয়োজক কমিটি বলে, জীবন একটি যাত্রা, এ যাত্রায় রয়েছে নানা রঙের স্মৃতি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন এর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রতিদিন গল্প তৈরি হয়। আমরাও সেই গল্পের অংশ। আমরা, ‘বিবৃত্ত ২০’ এই গল্পগুলোকে লালন করেই সামনে অগ্রসর হতে চাই। বিবৃত্ত একটি অন্তহীন যাত্রার প্রতীক। এই যাত্রায় ঘুরেফিরে আমরা বারবার ১০৬ একরের অঙ্গনে ফিরে আসি, আমাদের রঙিন দিনগুলোকে উদযাপন করি। আমরা জেন-জি, আমরা অভয় প্রজন্ম। সব ভয়কে জয় করে অন্তহীন যাত্রায় একসঙ্গে এগিয়ে চলাই আমাদের লক্ষ্য।
বিবৃত্ত আয়োজিত র্যাগ’২৫ আয়োজনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিশের গল্প ও স্মৃতিগুলো মধুময় হয়ে থাকুক। জীবনযাত্রার নতুন বাঁকে সবার আগামী দিনগুলো সুন্দর ও নিরাপদ হোক। সবার মনে বেঁচে থাকুক, ‘অদম্য প্রতিবিম্ব রেখা, শূন্যে দুই শূন্য লেখা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষাসমাপনী উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ কনসার্ট এবং ট্রাক র্যালি, যা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। এর পাশাপাশি কনসার্টের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদারে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।
এদিকে শিক্ষাসমাপনী উৎসব সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্নে খুলনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এসএম মাহবুবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির, সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আজম খান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. হোসেন আহম্মদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মো. রোকনুজ্জামান, র্যাব-৬ এর ডিএডি মো. নজরুল ইসলাম, ডিজিএফআই খুলনার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক অনিমেষ মণ্ডল, হরিণটানা থানার ওসি (তদন্ত) মো. টিপু সুলতান প্রমুখ।
এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক আবদুর রহমান, এস্টেট শাখা প্রধান এসএম মোহাম্মদ আলী এবং ২০ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন