চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ছাত্রীদের হল আঙিনায় একটি সুবিধাভোগী রাজনৈতিক গোষ্ঠী ভাঙচুর করছে, প্রশাসনের সেই দিকে কনসার্ন দেখায়নি। কনসার্ন শুধু ছাত্রীরা কেন হল থেকে নেমে বাধা দিয়েছে, সেটা নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। এটা থেকে খুবই স্পষ্ট, এই প্রশাসন নারী বিদ্বেষী। তারা একটি রাজনৈতিক চাল, সুবিধাবাদী আচরণ করছে। এই বহিষ্কৃত নারীদের নিয়ে যারা কনসার্ন দেখিয়েছে, অধিকার নিয়ে কথা বলছে, প্রক্টর বলেছে তারা না কী হানিট্র্যাপে পড়ে এসব করছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে?’
ইংরেজি বিভাগের নওশীন তাবাসসুম বলেন, প্রশাসনের কাছে আমার তিনটি প্রশ্ন। প্রথমত, ৫ আগস্টের পরে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নৌকা কীভাবে সেখানে এখনো রয়ে গেছে? কেন প্রশাসন নিজ উদ্যোগে সেটি ভাঙেনি? দ্বিতীয়ত, ছাত্ররা যে ভাঙচুর করবে সেটা হুট করে প্ল্যান করে নাই। শহীদ মিনার থেকেই তাদের আওয়াজ শুনা যাচ্ছিল, তাহলে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিল না? কেন তাদেরকে থামানো চেষ্টা করেনি। তৃতীয়ত, যখন শেখ হাসিনা হলের সামনেই ছাত্ররা ভাঙচুর করছিল, তখনই কেন প্রক্টর হস্তক্ষেপ করে তাদের থামায়নি।’
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বহিষ্কার সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইতে বলেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের নৌকা প্রতীক ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙাকে কেন্দ্র করে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের দ্বারা শিক্ষক-সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন। এই ঘটনায় তদন্ত করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিল এবং ৯ শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
মন্তব্য করুন