জবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন পদপ্রাপ্ত একাধিক নেতা। এছাড়া কয়েকজন ছাত্র আন্দোলন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এই কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে কমিটিতে নাম থাকা অনেকেই এ কমিটির বিরোধিতা করছেন। তাদের মতে, যোগ্যদের বাদ একদল মানুষ সুবিধা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে এ কমিটি গঠন করেছে।
এই কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পাওয়া মো. ফেরদাউস শেখ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি আবেগের প্ল্যাটফর্ম। জবিতে এই কমিটি গঠন বিষয়ে আমাকে কিছু না জানিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে, যেখানে আমার নামটাও সঠিকভাবে লিখতে পারেনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কমিটি মূলত এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত কমিটি, ঢাকা কলেজের মতো একটি জায়গায় যদি ৩০০+ জনের কমিটি দিতে পারে তাহলে জবিতে কেন নয়! কারণ অধিক সদস্য নিয়ে কমিটি দিলে তার একক নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
তিনি বলেন, সেই ব্যক্তির ইচ্ছার বাহিরে আর কাউকে কমিটিতে স্থান দিবে না সে। যেহেতু এ কমিটি আমার অনেক সহযোদ্ধা বড় ভাই, বন্ধু ও ছোট ভাইকে মাইনাস করা হয়েছে সুকৌশলে, তাই এই কমিটিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পাশাপাশি নিজে অব্যাহতি নিচ্ছি এই সিন্ডিকেট কমিটি থেকে।
কমিটিতে নাম থাকা আরেকজন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফেসবুকে লেখেন, এই কমিটির নাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন না দিয়ে পা চাটা আন্দোলন কমিটি দিলে ভালো হতো। আর আমাকে না জানিয়ে আমার নাম কমিটিতে রাখায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে থাকতে চাই। ধন্যবাদ।
এছাড়া পদবঞ্চিতদের অনেকে ফেসবুকে লেখালেখি করছেন কটাক্ষ করে। তাদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার এ কমিটিতেই বৈষম্য হয়েছে। তবে সবাইকে একত্রিত করে কাজ করবেন বলে জানান সদস্য সচিব সিফাত।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি সর্বজনীন সংগঠন। আমরা যারা দায়িত্ব পেয়েছি তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। একই সাথে ২৪-এর জুলাইয়ের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি তা পূরণ করতে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। সবার সহযোগিতা কামনা করছি
মন্তব্য করুন