ঢাকার নারায়ণগঞ্জের সাইফ আসফাক সাদিক, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই কিশোর একসময় সবকিছুই দেখতে পেতেন। কিন্তু ২০২১ সালে রোগের কারণে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হয় সরকারি তোলারাম কলেজের এই শিক্ষার্থীকে। তবে সেই দৃষ্টিশক্তি তাকে আটকাতে পারেনি। দৃষ্টিশক্তি ছাড়াই একে একে পার করেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক। এখন অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিট সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় দিয়েছেন সাদিক।
সাদিক বলেন, মোটামুটি টেনশন লাগত নিজে পরীক্ষা দিতে পারতাম না তাই। রেকর্ডিং শুনে পড়তাম, পড়তে অনেক কষ্ট হতো। আমার স্বপ্ন, বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। ঢাবিতে পরীক্ষা দিয়েছি, তারপর জবির প্রিপারেশন নিয়েছি। জবির পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। আশাবাদী চান্স হয়ে যাবে।
সাদিকের পিতা শফিউল আলম একজন ব্যাংকার। মা আরিফা ইয়াসমিন একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় জেনেটিক্যাল সমস্যায় দৃষ্টিশক্তি হারান নারায়ণগঞ্জের সাদিক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার মো. রাকিব হোসেন খান আবির বলেন, আমাদের দুই শিফটের পরীক্ষায় প্রথম শিফটে দুজন এবং দ্বিতীয় শিফটে একজন পরীক্ষা দেবে। প্রথম শিফটের দুজনেরই শ্রুতিলেখক লাগবে এবং দুজন শ্রুতিলেখক যথাসময়ে উপস্থিত থাকলেও একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়ায় ‘ডি’ ইউনিট সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা শুরু দুপুরে।
মন্তব্য করুন